সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
বার বার ঢাকায় নিজেদের অবস্থানের জানান দিচ্ছে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগ,অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে কতটা শক্তিশালী করেছেন তা ঢাকার নেতারা বুঝে গেছে। রূপগঞ্জ থেকে রাজনৈতিক সাপোর্ট পাচ্ছে তারা। আওয়ামী লীগের ঢাকায় যেকোন কর্মসূচি সফল করার জন্য রূপগঞ্জের নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। গতকাল রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুব মহিলা লীগের তৃতীয় জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে রূপগঞ্জ থেকে প্রায় ৫০০০/(পাঁচ) হাজার নেতাকর্মী নিয়ে যোগ দিয়েছেন রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী। মিছিল নিয়ে তিনি সম্মেলনে প্রবেশ করেন। তার বিশাল মিছিল দেখে মুগ্ধ কেন্দ্রীয় নেতারা। রূপগঞ্জের যুব মহিলালীগ নেতাকর্মীদের মাথায় ছিলো লাল ক্যাপ। ধারণা করা হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় মিছিল। এসময় নেতাকর্মীরা বিভিন্ন শ্লোগানে মুখোরিত করে তোলেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান । রূপগঞ্জের মিছিলের প্রশংসা করেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
অনুষ্ঠানে রূপগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার রিয়া, সাধারণ সম্পাদক সেলিনা আক্তার রিতা, রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক সীমারানী পাল, কাউন্সিলর মিনারা বেগমসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে গণমাধ্যমে মেয়র হাছিনা গাজী বলেন, রূপগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলালীগ রাজপথে আছে। আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে যুব মহিলা লীগ ঘরে ফিরবে।
রূপগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার রিয়া বলেন, হাছিনা গাজীর নেতৃত্বে আমরা আছি একসাথে। যুব মহিলালীগের কেন্দ্রীয় কমিটি আমাদের যে নির্দেশ দেবে আমরা তা বাস্তবায়ন করে যাবো। সমাবেশের নামে বিএনপি, জামায়াতকে কোন প্রকার নৈরাজ্য করতে দেওয়া হবে না।
এদিকে নারায়ণগঞ্জে ক্ষমতাসীন দলের আরও দুইজন এমপি রয়েছে। তাদের স্ত্রী যুবমহিলা লীগের সম্মেলনে হাছিনা গাজীর মতো এত বড় মিছিল নিয়ে যাননি। তারা যুব মহিলা লীগের খোঁজ রাখেন কিনা সন্দেহ। নেত্রীরা এখন হাছিনা গাজীর প্রশংসা করছে।
যুব মহিলা লীগের নতুন সভাপতি হয়েছেন ডেইজী সারোয়ার এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন শারমিন সুলতানা লিলি।